কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার পরিকল্পনায় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবস্থান নেওয়া মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে এপিবিএন।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উখিয়ার জামতলীস্থ ১৫ নম্বর ক্যাম্প থেকে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন- মোহাম্মেদ আমিন (২৩), পেটান শরীফ (৪৩), আবুল কাশেম (৩৩) ও সৈয়দুর রহমান (২৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫টি ওয়ান শুটারগান, ১টি এলজি, ৩৬ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৮ রাউন্ড গুলির খোসা, ৪ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, ৩টি হাতের তৈরি গ্রেনেড, ৩টি বড় পটকা, ১টি ওয়াকিটকি সেট, ২টি বড় ছোরা, ১টি গুলতি ও ২টি লোহার ছিকল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উখিয়াস্থ ৮ এপিবিএনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. আমির জাফর।
তিনি বলেন, আরসা সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতা করার জন্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্র গোলাবারুদসহ ১৫ নম্বর ক্যাম্পে অবস্থান নেওয়ার সংবাদ পেয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এপিবিএন সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আরসা সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালানো শুরু করে। এ সময় ধাওয়া করে ৪ জনকে আটক করা হলেও প্রায় ১০ থেকে ১২ জন পালিয়ে যায়। আটকদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এরা উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা ও আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী।
৮-এপিবিএনের অধিনায়ক বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও আটক সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় মামলা করে আটকদের সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।