উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত দু’দিন ধরে তাপমাত্রা আবারও কমেছে। তবে সপ্তাহজুড়ে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ এর মধ্যেই ছিল।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
জেলার তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দু’দিন ধরে হালকা কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি। দিনভর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সূর্যের দেখা মিললেও বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হয়।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা প্রকৃতি। কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। তবে শীত উপেক্ষা করেই সকালে বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীদের কাজে যেতে দেখা গেছে। নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন পর আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতভর প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভব হয়েছে। এ অঞ্চলে দিনের তুলনায় রাতে শীত অনুভূত হয় বেশি।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ রোগী। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ গণমাধ্যমকে বলেন, গত দু’দিন ধরে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে। আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তাপমাত্রা অনুযায়ী মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।