রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রোগীর এক স্বজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার যুবকের নাম সুমন পারভেজ। তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানার বোসপাড়া এলাকার রোগী মোসা. পিয়ারা বেগমের (৬০) ছেলে।
জানা যায়, গত শুক্রবার ভুক্তভোগী সুমন পারভেজ তার অসুস্থ মা পিয়ারা বেগমকে রামেক হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করান। এরপর চিকিৎসক তার মায়ের বেশ কিছু চেকআপের দেন। তার মায়ের সেই চেকআপের রিপোর্ট নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে চিকিৎসকদের কাছে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা সুমনকে কোনো ধরনের তথ্য না দিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ব্যস্ত থাকে। ফলে তিনি আবারও সেই রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসকরা তাকে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে দড়জা বন্ধ করে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করেন। এতে সুমন গুরুতর আহত হন।

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সুমন পারভেজ বলেন, মায়ের রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাওয়া তো কোনো অপরাধ নয়। তবুও ডাক্তাররা পরিকল্পিতভাবে কৌশলে রুমে ডেকে নিয়ে গিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ১৫-১৬ জন মিলে আমাকে মারধর করেছে। স্টিলের পানির পট, জুতা, সেন্ডেলসহ কিল-ঘুষি, যে যেভাবে পেরেছে বেধরক মারধর করেছে। এতে আমার বুকেসহ সারা শরীরে জখম হয়েছে। এতে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। বুকের এক্সরে করতে দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বুঝতে পারবো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিবাদ না করায় রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত খারাপ আচরণ করে আসছেন চিকিৎসকরা। এবার বিনা অপরাধে আমার উপর বরবরচিত হামলা করেছে তারা। এই হামলায় অংশ নেয়া চিকিৎসকদের নামে মামলা করা হবে।
রোগীর স্বজনকে রুমে আটকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে যেই অপরাধী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এমন ঘটনা অপ্রত্যাশিত।