প্রতীকী ছবি
রাজশাহীতে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক ফয়সাল তারিক আসামিদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, সোমবার ওই পুলিশ সদস্যের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুন্নবী হোসেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) আদালত পরিদর্শক আবদুর রফিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিদের পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তবে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সবার একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানী (৩৩), আরএমপি সদর দপ্তরের পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান (৩২), কনস্টেবল শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল (৩১) এবং দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী হাসান (৩৭)।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) সদর দপ্তরের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জামিরুল ইসলাম জানান, গত শনিবার নগরীর রাজপাড়া থানায় মোসা. কারিমা খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষার্থীর দায়ের করা প্রতারণা মামলায় পুলিশের এই চারজনসহ মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়। পরে সেদিনই সন্ধ্যায় তিন পুলিশ সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়। আর মেহেদীকে গ্রেপ্তারের পর গত সোমবার কারাগারে পাঠানো হয়। আদালতে সবার রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মঙ্গলবারই আসামিদের কারাগার থেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হতে পারে।
এর আগে গত শুক্রবার প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতারক চক্রটি অসৎপন্থা অবলম্বন করে চাকরির পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেছিলেন পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগে গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের এই সদস্যরা ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীকে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেন। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে খুবই ছোট আকারের হেডফোন ও ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি সরবরাহের কথা ছিল। এই ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের সব উত্তর বলে দেওয়া হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নগদ তিন লাখ টাকাও নেওয়া হয়। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মোট ১৪ লাখ টাকার চুক্তি করা হয়েছিল। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল চেক ও স্ট্যাম্প।
কারিমা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার আসামি শাহরিয়ার পারভেজের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ ইলেকট্রনিকস ডিভাইস সংযুক্ত ১৬টি গেঞ্জি, ১৩টি চুম্বক দণ্ড, ক্ষুদ্র গোলাকৃত্রির চুম্বকযুক্ত ২৬টি ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, ১৫টি মোবাইল ফোনের চার্জার, ২টি স্ট্যাম্প, ২টি চেক, টাকা পাঠানোর দুটি রসিদ এবং নগদ আট হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh