× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মিয়ানমারে তীব্র গোলাগুলি

১৪ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে

ন্যাশনাল ট্রিবিউন রিপোর্ট

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:১২ এএম । আপডেটঃ ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:২১ এএম

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তছবি: সংগৃহীত

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৪ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের অস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) হেফাজতে আছে। 

বিজিবির একটি সূত্র আজ রোববার তা নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে পরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়ন।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ভেতরে গতকাল শনিবার রাতে শুরু হওয়া গোলাগুলি আজ দুপুর ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলছিল। বিরামহীন গোলাগুলির ঘটনায় ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, কোনারপাড়া, ভাজাবনিয়া ও বাইশফাঁড়ি এলাকার শত শত পরিবার যে যেদিকে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে তুমব্রুতে একজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বাইশফাঁড়ি সীমান্তে এক ব্যক্তির বাড়িতে গোলা এসে পড়ে আগুন ধরেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েক জনপ্রতিনিধি জানান, যে এলাকা থেকে গোলাগুলির শব্দ আসছে, সেখানে বিজিপির তুমব্রু রাইট ক্যাম্প এবং ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি অবস্থিত। এ দুই স্থাপনা ছাড়া আশপাশের প্রায় ৪৮ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় বিজিপির বাকি সব চৌকি আরাকান আর্মি এরই মধ্যে দখলে নিয়েছে। বাকি দুটি স্থাপনা দখলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে সেখানে আরাকান আর্মির হামলা চলছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার বলেন, গতকাল বিকেলে গোলাগুলি শুরু হলেও চারটার দিকে বন্ধ হয়েছিল। আবার রাত তিনটার দিকে মুহুর্মুহু গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। রাতে বাইশফাঁড়ি সীমান্তে একটি গোলা এসে প্রবাসী নুরুল কবীরের বাড়িতে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় বাড়ির কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। ভোরে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪ থেকে ১৫ সদস্য বিজিবির তুমব্রু ক্যাম্পে এসে আশ্রয় নেওয়ার কথা তিনিও শুনেছেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা বলেছেন, ঘুমধুম সীমান্তের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাই নিরাপদে আশ্রয়ে থাকলেও আতঙ্কের মধ্যে আছেন। এই বিদ্যালয়গুলো আগে থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তের গোলাগুলির ঘটনায় ঘুমধুম সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে আছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের লোকজনকে সতর্ক ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য বলা হয়েছে। সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি, পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনী সবাই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্য আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে, তবে বিষয়টি নিশ্চিত করে এখনো বলা যাচ্ছে না।


National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.