নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় বাদী-বিবাদীকে আটকে রেখে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়া দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিকভাবে বদলি) করা হয়েছে। সোমবার জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেনকে তাৎক্ষণিকভাবে বদলির আদেশ দেওয়া হয়। আশরাফুলকে নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় এবং সাজ্জাদকে ভাসানচর থানায় বদলি করা হয়েছে। অতি দ্রুত তাদের বদলির স্থানে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের রুহুল আমিন সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে প্রতিবেশী খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত ওই জমিতে কোনো ধরনের কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। গত ২২ জানুয়ারি খোরশেদ ওই জমিতে কাজ করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বাদীর দুই ছেলে, বিবাদীসহ চারজনকে আটক করেন এসআই আশরাফুল ইসলাম। মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
ঘুষ নেওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন খোরশেদের স্বজন নাইমুল হক ইভান।
তিনি জানান, থানা থেকেই খোরশেদ ও তাঁর পক্ষের রিয়াদকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে এসআই আশরাফুল ৫ হাজার এবং এসআই সাজ্জাদ ১০ হাজার টাকা নেন। তবে তাদের ছেড়ে না দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত থেকে তাদের জামিন করান তিনি।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে যান অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতেও অনুরোধ করেন তারা।