জয়পুরহাটে শীতের তীব্রতা আগের মতই আছে। তবে আজ হালকা করে রোদের দেখা মিলেছে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা একটু বেড়েছে। আবহাওয়া অফিস গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছিল। আজ রোববার একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে জয়পুরহাটে চলছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ। টানা এক সপ্তাহ ধরে রোদের দেখা মেলেনি। আজ রোববার সকাল থেকে কুয়াশায় ঢাকা থাকলেও বেলা ১১টার দিকে হালকা করে রোদের দেখা মিলেছে। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা। এ কারণে শুক্রবার ও শনিবারসহ টানা সাতদিন ধরে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল বন্ধ ছিল। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলো আজ রোববার থেকে চালু করা হয়েছে। আর প্রাথমিক স্কুলগুলো আজও বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার সাথে প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাস, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে। সে কারণে প্রাথমিক পর্যায়ের স্কুলগুলো আজও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি থেকে আজ ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আমান উদ্দিন মন্ডল বলেন, যদিও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে, তারপরও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলো চালু করা হয়েছে। তাপমাত্রা যদি আরও নিচে আসে সেক্ষেত্রে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল শনিবার সকাল ৯টায় নওগাঁ ও জয়পুরহাটে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়সি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। আজ রোববার একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই মোতাবেক পাশের জেলা ও উপজেলাতে তাপমাত্রা সামান্য তারতম্য হতে পারে।