মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া ফেরি ‘রজনীগন্ধা’কে এক সপ্তাহ পর উদ্ধার করে নদীর তীরে আনা হয়েছে । বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় ফেরিটি উদ্ধার করে পাটুরিয়া ঘাটের পূর্বে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল প্রকল্প এলাকায় নোঙর করে রাখা হয়। বিআইডব্লিউটিএর নৌ-পথের অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুল ছালাম জানান, নদীতে ডুবে যাওয়া ফেরিতে পলি পড়ার কারণে উদ্ধার কাজে সময় বেশি লেগেছে।
আরিচা অফিসের বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, গত শুক্রবার দুপুরে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’ এসে ওই দিন বিকেল ৩টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ফেরির সঙ্গে ডুবে যাওয়া ৯টি ট্রাকও উদ্ধার করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাত ১২টার পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ায় আসে ইউটিলিটি ফেরি ‘রজনীগন্ধা’। এতে নয়টি পণ্যবাহী গাড়ি ছিল। রাত দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের অদূরে পদ্মায় আটকা পড়ে ফেরিটি।
পরের দিন বুধবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়। ফেরিতে থাকা স্টাফ ও যানবাহনের চালক-সহযোগী মিলে ২১ জনের মধ্যে ২০ জনই নিরাপদে ফিরে আসতে পারলেও নিখোঁজ থাকেন ফেরিটির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবির।
গত সোমবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ১২ কিলোমিটার ভাটিতে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে।