রাজধানীতে দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নাই। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। অফিসফেরত মানুষ এমন বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা বৃষ্টি ঝরেছে। তবে গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তার পরও দেশের ২১টি জেলায় বয়ে গেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে দেশজুড়ে শীতের যে দাপট চলছে, মাসের বাকি দিনগুলোতেও প্রায় একই রকম আবহাওয়া থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, ঢাকায় ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ঢাকায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর বৃষ্টি হয়েছিল।
আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন– কিশোরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় তা প্রশমিত হলেও শীত থাকবে এ মাসজুড়েই।
পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় বন্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসের সময় পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে সকাল ১০টায়।
এদিকে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা মানেনি পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
একইভাবে নির্দেশনা মানেনি ঈশ্বরদী উপজেলার সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাবনা-৪ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গালিবুর রহমান শরীফকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মাঝেই শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এবারে শীত বেড়েছে জানুয়ারিতে এসে। গত ১১ জানুয়ারি দেশের উত্তরের কিছু জেলায় শুরু হয় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, সঙ্গে ছিল ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিম হাওয়ার দাপট। ২০ জানুয়ারির পর শৈত্যপ্রবাহের বিস্তার ঘটতে থাকে। তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে দেশ। কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে প্রায় প্রতিদিন। হাসপাতালগুলোয় ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড়ও বাড়ছে। ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে।