কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর প্রতিরোধ ও তাৎক্ষণিক বাধার মুখে বিএসএফের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে অনুষ্ঠিত জরুরি পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই নাগরিকদের ভারতে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয় তারা।
সীমান্তের উত্তেজনা ও বিজিবির অবস্থান
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর বিওপির আওতাধীন ১৫৭/১-এস সীমান্ত পিলারের কাছে ‘মদনের ঘাট’ এলাকা দিয়ে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালানো হয়। বিএসএফের বাউশমারী ক্যাম্পের সদস্যরা ৬ জন পুরুষ, ৪ জন নারী এবং ৪ জন শিশুকে জোরপূর্বক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে।
বিজিবির টহল দল বিষয়টি টের পাওয়ার সাথে সাথেই সীমান্তে তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং জিরো লাইনে কঠোর অবস্থান নেয়। বিজিবির অনড় অবস্থানের কারণে বিএসএফ তাদের ভেতরে পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থান নেয়।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিএসএফের পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের অনুরোধ জানানো হয়। কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের এই বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে অবৈধ পুশইনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী দ্রুত ওই নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিজিবির জোরালো অবস্থানের মুখে বিএসএফ অবশেষে তাদের নাগরিকদের ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নেয়।
কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সর্বদা সজাগ রয়েছে। তিনি বলেন, “মাদক পাচারসহ সব ধরনের সীমান্ত অপরাধ নির্মূলে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ওই ১৪ ভারতীয় নাগরিককে বিজিবির বাঁধার কারণেই পুশইন করা সম্ভব হয়নি।”