× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শিশু যৌন শোষণ রোধে শিশুদের কণ্ঠস্বরকেই প্রাধান্য দেওয়ার দাবি

আরিফ খান

২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৪১ পিএম । আপডেটঃ ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৪২ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

শিশুর প্রতি যৌন শোষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে কেবল বড়দের পরিকল্পনা নয়, বরং শিশুদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও কণ্ঠস্বরকে প্রাধান্য দিয়ে টেকসই সুরক্ষাবলয় গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বিত ও প্রমাণভিত্তিক উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘জাতীয় পর্যায়ে শিশু নেতৃত্বাধীন গবেষণা উপস্থাপন ও সংলাপে’ এসব কথা বলেন বক্তারা। উন্নয়ন সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) এবং অ্যাকপেট ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

“চিলড্রেন নো বেটার” প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনসহ মোহনপুর ও গোদাগাড়ী উপজেলার ২৫ জন শিশুনেতার অংশগ্রহণে একটি ব্যতিক্রমী গবেষণা পরিচালিত হয়। এই গবেষণার বিশেষত্ব হলো, শিশুরাই তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে তাদের সহপাঠীদের সাক্ষাৎকার ও দলগত আলোচনার মাধ্যমে যৌন শোষণের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, মাঠপর্যায়ে বিদ্যমান সুরক্ষা সেবাগুলোর সীমাবদ্ধতা এবং সামাজিক সচেতনতার অভাবে শিশুরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন এবং জনসমাগমস্থলে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) আনোয়ার হোসেন। তিনি শিশু নেতৃত্বের এই গবেষণাকে সময়োপযোগী আখ্যা দিয়ে বলেন, “শিশুদের অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া তথ্য আমাদের প্রকৃত বাস্তবতা বুঝতে সাহায্য করে। আবেগের বশবর্তী হয়ে নয়, বরং যুক্তিনির্ভর সিদ্ধান্ত এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিতের মাধ্যমেই কার্যকর শিশু সুরক্ষা সম্ভব।”

অনুষ্ঠানে শিশু গবেষক সুমাইয়া আফরিন শ্যামা ও সাবিহা জান্নাতি নিশা কয়েকটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরেন:

  • সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর ‘অভিযোগ কমিটি’ গঠন।
  • জাতীয় হেল্পলাইন ১০৯-এর ব্যাপক প্রচারণা ও ব্যবহার নিশ্চিত করা।
  • ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার ও ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) কার্যক্রম আরও জোরদার করা।
  • গণপরিবহন ও জনসমাগমস্থলে শিশুদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ।


এসিডির নির্বাহী সভাপতি প্রফেসর ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে সংলাপে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কাজী মারুফুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক এমএম মাহমুদউল্লাহ এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কানিজ তাজিয়া। বক্তারা জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) কঠোরভাবে অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে এসিডির পক্ষ থেকে প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. আলী আহমেদ, টিম লিডার সুব্রত কুমার পাল এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006 ,01922575574

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.