ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবি সদরদীর রেলক্রসিং এলাকায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশার (ইজিবাইক) তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই শিশুসহ অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে টেকেরহাট থেকে ফরিদপুরগামী একটি দ্রুতগামী বাসের চাপায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়নি, তবে পুলিশ তাদের শনাক্তকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলালউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে মাদারীপুরের টেকেরহাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথে কৈডুবি সদরদী রেলক্রসিং এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা টেকেরহাটগামী একটি দ্রুতগতির বাস ইজিবাইকটিকে সজোরে চাপা দেয়।
ওসি হেলালউদ্দিন বলেন, "বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার তিন আরোহী নিহত হন এবং দুই শিশুসহ অন্তত পাঁচজন যাত্রী আহত হন। দুর্ঘটনার পর পরই ঘাতক বাসটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি, তবে আমরা বাস ও চালককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।"
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করেন। নিহতদের মরদেহ ও আহতদের প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে।
হাইওয়ে থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহাসড়কে দ্রুতগতির যানবাহন চলাচলের সময় চালকদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ।