× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মিরপুরে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা, পালানোর সময় অটোরিকশাচালককেও গুলি

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৪ এএম । আপডেটঃ ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০১:২৩ এএম

মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে হার্ডওয়্যারের দোকানে পল্লবী থানা যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে দুর্বৃত্তরা । ছবি: সংগৃহীত/সিসিটিভি ফুটেজ

রাজধানীর মিরপুরে একটি দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটে। নৃশংস এই ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা ব্যাটারিচালিত এক অটোরিকশাচালককেও গুলি করে আহত করে। রাজনৈতিক পরিচয়, হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা এবং পালানোর সময় সাধারণ মানুষকে আক্রমণ—এই পুরো ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যমতে, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গোলাম কিবরিয়া মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে প্রবেশ করেন। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কয়েকজন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কিবরিয়া। ছবি: সংগৃহীত/সিসিটিভি ফুটেজ


মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করা হয়। ছবি: সংগৃহীত/সিসিটিভি ফুটেজ


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এই হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতা ধরা পড়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, দুর্বৃত্তদের প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট ও মুখে মুখোশ ছিল। তাদের মধ্যে একজনের পরনে পাঞ্জাবি, একজনের গায়ে শার্ট এবং আরেকজনের গায়ে শার্টের ওপর শীতের চাদর জড়ানো ছিল।

গুলি শুরু হতেই ভয়ে দোকানে থাকা অন্যান্য ৯ জন ব্যক্তির মধ্যে কয়েকজন দ্রুত বেরিয়ে যান এবং দুজন লুকিয়ে পড়েন। দু’জন দুর্বৃত্ত গোলাম কিবরিয়াকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তাকে আরও তিনটি গুলি করা হয়। এরপরই দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে দুর্বৃত্তরা।

রক্তাক্ত অবস্থায় কিবরিয়াকে শেরেবাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল বাশার জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্বজনেরা কিবরিয়াকে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক দাবি করেছেন, নিহত কিবরিয়ার শরীরে মোট ৯টি গুলি লেগেছে।

গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা ১৮ বছর বয়সী অটোরিকশাচালক আরিফ হোসেনকে গুলি করে। আহত আরিফ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি আছেন।

ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আরিফ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত/সিসিটিভি ফুটেজ


আহত আরিফ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, “দুই যুবক হেলমেট পরা অবস্থায় দৌড়ে এসে তার রিকশায় ওঠে এবং কোমরে পিস্তল ঠেকিয়ে দ্রুত চালাতে বলে। দেরি হওয়ায় তারা তাকে গুলি করে।” পরে এক পথচারী তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। আরিফ পল্লবী এলাকায় থাকেন।

নিহত গোলাম কিবরিয়া স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মিরপুর সাড়ে ১১-তে ফলপট্টি সংলগ্ন ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, “গোলাম কিবরিয়া পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করতেন এবং তার কোনো শত্রু ছিল না।”

এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান গণমাধ্যমকে জানান, কিবরিয়াকে গুলি করার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রাস্তার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানা যায়নি।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.