রাজধানীর কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশনের নিচে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে, কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য কী, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য জানা যায়নি। এর চাইতেও বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, ঘটনাস্থলটি কলাবাগান থানা ও তেজগাঁও থানার সীমানার মাঝামাঝি হওয়ায় প্রাথমিক তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে দুই থানার কর্মকর্তাদের মধ্যে কিছুটা সীমানা জটিলতা দেখা দিয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশনের নিচে আকস্মিকভাবে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান জানান, দুর্বৃত্তরা এসে ককটেল দুটি ফাটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
এই ধরনের ঘটনা রাজধানীতে আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর প্রশ্ন তোলে।
ঘটনার পর পরই তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দুই থানার কর্মকর্তারা। সেখানেই উদ্ভব হয় সীমানা জটিলতার।
কলাবাগান থানার ওসি মনিরুজ্জামান খান দাবি করেন, ঘটনাস্থল তাদের থানা এলাকার মধ্যে পড়েনি, বরং এটি তেজগাঁও থানা এলাকার অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে, তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন এর বিরোধিতা করে বলেন, তাদের সীমানা বাংলামোটর থেকে এলে হাতের ডানে পড়ে, কিন্তু ককটেলটি বিস্ফোরিত হয়েছে বাম দিকে, যা কলাবাগান থানা এলাকার আওতাভুক্ত।
ফলে, ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত ও পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধা ও বিলম্বের সৃষ্টি হয়।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এ বিষয়ে জানান, তিনি যতটুকু জেনেছেন তাতে ঘটনাটি তেজগাঁও থানার ভেতরেই ঘটেছে, কলাবাগান থানার এলাকায় নয়।
তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "যে থানার ঘটনাই ঘটুক, আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করছি।"