× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

হাফ ভাড়ায় রণক্ষেত্র বরিশাল

শিক্ষার্থী-শ্রমিক সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত, ভাঙচুর অর্ধশত বাস

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০১ এএম । আপডেটঃ ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ এএম

বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে পরিবহনশ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর রাস্তায় জ্বলন্ত টায়ার ও ভাঙচুর হওয়া বাস।

হাফ ভাড়াকে কেন্দ্র করে বরিশালের কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহনশ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। এই ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন এবং প্রায় ৫০টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

নগরের একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে প্রবেশ করেন এবং সেখানে থামিয়ে রাখা বাসগুলোতে ভাঙচুর শুরু করেন। পরিবহনশ্রমিকরা বাধা দিতে গেলে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এ সময় একটি বাসে আগুন দেওয়া হলেও সেটি তাৎক্ষণিক নিভিয়ে ফেলা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শনিবার বিকালে মুলাদী থেকে বরিশাল আসার পথে কয়েকজন শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে চাইলে পরিবহনশ্রমিকরা তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনার বিচার দাবিতে অন্য শিক্ষার্থীরা বাস টার্মিনালে জড়ো হলে উল্টো শ্রমিকরা তাদের ওপর হামলা চালান। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের পক্ষে প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থী বাপ্পী ও টিটু অভিযোগ করেন, হাফ ভাড়া নিয়ে শ্রমিকরা প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও মারধর করে থাকেন।

অন্যদিকে, নথুল্লাবাদের পরিবহন শ্রমিকনেতা আরজু মৃধা বলেন, কলেজ বন্ধের দিনেও হাফ ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক শ্রমিকের সামান্য বিরোধ হয়। এরই জের ধরে বিএম কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী বাসস্ট্যান্ডে এসে বাসে ভাঙচুর চালান এবং একটি বাসে আগুন দেন। তার দাবি, শ্রমিকদের ওপর শিক্ষার্থীদের হামলায় প্রায় ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

রাত ৯টার দিকে বিএম কলেজের উপাধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান ঘটনাস্থলে এসে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিয়ে যান। তিনি রবিবার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে বাস মালিক গ্রুপ, শ্রমিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈঠক হবে।

তবে এই ঘটনায় শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা চলছিল। কিন্তু হঠাৎ অনেক শিক্ষার্থী একত্রিত হওয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে। এতে আমাদের অনেকগুলো বাস ভাঙচুর হয়েছে। এ ঘটনায় শ্রমিকরা রবিবার সকাল থেকে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।”

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ওসি আল মামুন উল ইসলাম জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও দুই পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। তবে এখনও কোনও পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি এবং বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.