লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামকে কুপিয়ে ও গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর এলাকার মোস্তফার দোকান সংলগ্ন সড়কে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের স্ত্রী এই হত্যাকাণ্ডের জন্য স্থানীয় ছাত্রদলের এক কর্মীকে সরাসরি দায়ী করেছেন।
নিহত আবুল কালাম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, দুর্বৃত্তরা তাঁকে সড়কের ওপর কুপিয়ে এবং গুলি করে ফেলে রেখে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত আবুল কালামের স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার দাবি করেছেন, স্থানীয় ছাত্রদল কর্মী কাউছার হোসেন ওরফে ছোট কাউছারের সঙ্গে তাঁর স্বামী কালামের দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরেই কাউছারের লোকজন তাঁর স্বামীকে খুন করেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়েজুল আজীম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন যে মরদেহের পাশে গুলির খোসা পাওয়া গেছে এবং মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা আধিপত্য বিস্তারের বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
এলাকাবাসীর একাংশ জানিয়েছেন, নিহত আবুল কালামের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। অন্যদিকে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ছোট কাউছারও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং অস্ত্র বেচাকেনায় জড়িত বলে অভিযোগ আছে।
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।