× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

চট্টগ্রামে যুবদলের দুই পক্ষে গোলাগুলি, নিহত ১ ছাত্রদল কর্মী; আহত ১৫

২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৩ এএম । আপডেটঃ ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:১৭ পিএম

ছাত্রদল কর্মী মো. সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত

ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে নগরের বাকলিয়া এলাকায় যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে মো. সাজ্জাদ (২২) নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডের বগার বিলমুখ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এই গোলাগুলির সূত্রপাত হয় ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে। নিহত মো. সাজ্জাদ ছিলেন নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী।

দলীয় সূত্র মতে, গোলাগুলি হয়েছে এমদাদুল হকের অনুসারী ও নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহর অনুসারীদের মধ্যে। সিরাজের অনুসারী হিসেবে নাম আসা বোরহান উদ্দিন নিজেকে যুবদলের সংগঠক দাবি করেন, যদিও বর্তমানে যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন রাত আড়াইটার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, “ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে। গুলিতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

দলীয় সূত্র জানায়, ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে এমদাদুলের অনুসারী যুবদল কর্মী মো. জসিমকে গতকাল রাতে সিরাজের অনুসারী বোরহান উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম সোহেল তুলে নিয়ে যান।

জসিম সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসেন তাঁর ছবি ব্যবহার করা সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের ব্যানার অপসারণের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশের পর বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জসিম লাগানো ব্যানারগুলো খুলে ফেলেন। এর মধ্যে শাহাদাত ও সিরাজের ছবিসহ বোরহানের ব্যানারও ছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল তাঁকে (জসিম) তুলে নিয়ে যায় এবং আটকে রেখে মারধর করে।

জসিমকে আটকে রাখার খবর ছড়িয়ে পড়লে এমদাদুলের অনুসারীরা তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে যান। তাঁরা বাকলিয়া এক্সেস রোডে পৌঁছালে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে আহত হন সাজ্জাদ। তাঁকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সাজ্জাদের বুকে গুলি লেগেছিল।

ঘটনা প্রসঙ্গে এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, "সিরাজের ছবি দিয়ে বোরহান ব্যানার টাঙিয়েছিলেন। মেয়র শাহাদাতের নির্দেশে সেই ব্যানারগুলো খুলে ফেলায় বোরহানরা জসিমকে ধরে নিয়ে যায়। তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে গেলেই গুলি করা হয়।"

অন্যদিকে, গাজী সিরাজ উল্লাহ রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, বোরহান ও সোহেল তাঁর অনুসারী নন। তিনি এখন পটিয়ায় আগামী নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। বোরহান-সোহেলরা খারাপ জানার পর থেকে তিনি তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখেননি।

নিহত সাজ্জাদকে দেখতে রাতে হাসপাতালে ছুটে আসেন তাঁর মা ফরিদা বেগম। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার ছেলেকে কেন গুলি করল? তার খুনিদের বিচার চাই।” সাজ্জাদের ভাই মোহাম্মদ ইমরান জানান, তাঁর ভাই ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন এবং তিনি তাঁর ভাইয়ের খুনিদের ফাঁসি চান।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.