জামালপুর সদর উপজেলায় টাঙ্গাইল–জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের দিগপাইত এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক শিশুসহ আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুস সাকিব গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে তিনজন হলেন—তিতপল্লা ইউনিয়নের চাঁন মিয়া (৬৫), সরিষাবাড়ী উপজেলার কলেজশিক্ষার্থী আরিফা খাতুন পলি (২৮) এবং একই উপজেলার রাশেদ মিয়া (৩০)। নিহত অপর নারীর নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

আহতরা হলেন—চাঁন মিয়ার স্ত্রী সন্ধ্যা বেগম (৫০), জাহাঙ্গীর আলম (৪০), দিগপাইত এলাকার সাদিকা আক্তার (২৫), একই এলাকার ফারজানা বেগম (২২) এবং পলির ছেলে শিশু আরশ (৫)।

আহতদের মধ্যে শিশু আরশ, সাদিকা আক্তার ও সন্ধ্যা বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম ও ফারজানা বেগম জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামালপুর থেকে টাঙ্গাইলগামী একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে শহরমুখী একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই রাশেদ মিয়া মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় অন্যদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফা খাতুন পলিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চাঁন মিয়াও মারা যান। চতুর্থ নিহতের পরিচয় জানতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে ওসি নাজমুস সাকিব বলেন, "দুর্ঘটনার পর কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"