ফার্মগেটে মেট্রোরেল স্টেশন থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারী মৃত্যুর প্রায় ২৩ ঘণ্টা পর অবশেষে স্বস্তি ফিরল নগরবাসীর মধ্যে। আজ সোমবার সকাল ১১টা থেকে শাহবাগ–আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল পরিষেবা পুনরায় চালু হয়েছে। এর ফলে, রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরোদমে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলো।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) ইফতেখার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল সকালে ফার্মগেট মেট্রোরেল স্টেশন থেকে বিয়ারিং প্যাড পড়ে একজন পথচারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গতকাল বিকেলে প্রায় সাত ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শাহবাগ–মতিঝিল অংশে পুনরায় মেট্রো চলাচল শুরু হলেও, শাহবাগ–আগারগাঁও অংশটি বন্ধ ছিল।
আজ সকালে শাহবাগ–আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেলের ট্রায়াল চলায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। সড়কে তৈরি হয় তীব্র যানজট। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওরাপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
আগারগাঁওয়ে অনেক যাত্রী যানবাহনের অভাবে সড়কে আটকা পড়েন। বেসরকারি চাকরিজীবী ফাইরুজ হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "পল্লবী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোতে এলাম। কিন্তু এখন কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। অনেক মানুষ এখানে আটকা। আমার অফিস কারওয়ান বাজারে, জানি না কখন পৌঁছাব, হয়তো হেঁটেই যেতে হবে।"
আরেক যাত্রী আবদুল্লাহ আমিন বলেন, "আমার অফিস ফার্মগেটে। মিরপুর-১১ থেকে আসতে দুটো বাস বদলাতে হয়েছে। দুই ঘণ্টা লেগেছে পৌঁছাতে।"
যাত্রী প্রিয়তা চৌধুরী জানান, "আমার বাসা মিরপুর-২ নম্বরে। কারওয়ান বাজারে আসতে দেড় ঘণ্টা লেগেছে। রাস্তা পুরো জ্যামে ভরা।"
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা নওয়ার বলেন, "সকাল ১১টায় শাহবাগে আমার প্রেজেন্টেশন আছে। ৮টায় বাসা থেকে বের হয়েছি, এখনো শেওড়াপাড়ায় আটকে আছি।"
তেজগাঁওয়ের পোশাককর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, "সাধারণত ৯টার আগেই অফিসে পৌঁছে যাই। আজ ১০টা পেরিয়ে গেছে, এখনো রাস্তায় আছি। কোনো বাস থামছে না, সবগুলোই ভরা।"