× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শাহজালাল কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ আগুন, বিমান ওঠানামা বন্ধ, ৩৭ ইউনিট কাজ করছে

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৪৩ পিএম । আপডেটঃ ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০০:৩১ এএম

শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে (পণ্য রাখার স্থান) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে লাগা এই আগুন তিন ঘণ্টা গড়িয়ে গেলেও নেভানো যায়নি। আগুন লাগার কারণে দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি পণ্য রাখার অংশটিতে এই আগুন লেগেছে। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টার সময়ও আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ১৩টি ফায়ার স্টেশনের মোট ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।

বিমানবন্দর পরিচালকের বক্তব্য: বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ জানান, কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পরপরই উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে বহুমাত্রিক উদ্যোগ: আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর দুটি ফায়ার ইউনিট এবং নৌবাহিনীও যোগ দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-কেও সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

শাহজালাল বিমানবন্দরের পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স ভবনের উত্তর দিকে, ৩ নম্বর গেটের পাশে আগুন ছড়িয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ ও ক্ষয়ক্ষতি: উড়োজাহাজ থেকে মালামাল ওঠানো–নামানোয় যুক্ত থাকা ভয়েজার এভিয়েশনের গাড়িচালক মো. রাসেল মোল্লা জানান, আগুন লাগার সময় তাঁর গাড়িটি আমদানির কার্গো কমপ্লেক্সের ১০০ মিটারের মধ্যে ছিল। দ্রুত গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি কমপ্লেক্সের ভেতরের মানুষদের দ্রুত বের করে দেওয়া হয়।

আগুন লাগার তিন ঘণ্টা পরও কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স থেকে প্রচুর ধোঁয়া উড়তে দেখা যাচ্ছে। পরিস্থিতি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় লেগে যাওয়ায় বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে মাইকিং করে সবাইকে সরে যেতে বলা হচ্ছে।

এখনও পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা জানা না গেলেও আমদানিকারকরা বড় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। আকাশপথে পণ্য পরিবহনকারী আরএমকে গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান ইবনে আমিন সোহাইল গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনায় আমদানিকারকদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরই ক্ষয়ক্ষতি এবং কার্গো ভিলেজ পুনরায় চালুর সময়সীমা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

ফ্লাইট অবতরণে বিঘ্ন: এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে এরই মধ্যে নয়টি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে দিক পরিবর্তন করেছে। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং একটি ফ্লাইট সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.