ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে এক ব্যক্তিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুন্সি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবকের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই যুবকের নাম ফরহাদ ব্যাপারী ওরফে ঠান্ডু (৩৫)। তিনি সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার বাসিন্দা এবং ঢাকায় তার একটি ওয়ার্কশপের ব্যবসা রয়েছে। অভিযুক্ত স্ত্রী লাবণী আক্তার (২৮) একই এলাকার প্রবাসী জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফরহাদ ব্যাপারীকে রাতের খাবারের সঙ্গে কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী লাবণী আক্তার, শাশুড়ি শহিদা বেগম (৪৯) ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম (৬২) মিলে কাস্তে দিয়ে তার গলা কাটার চেষ্টা করেন।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এই হত্যাচেষ্টা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। কারণ, হত্যার উদ্দেশ্যে পাশের ঘরের বারান্দায় আগে থেকেই একটি গর্ত খোঁড়া হয়েছিল। ফরহাদ ব্যাপারীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে ওই তিন নারী পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত ফরহাদকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদরপুর থানায় খবর দেন।
ফরহাদ ব্যাপারীর পরিবার ও পুলিশের তথ্যমতে, জমি কেনার জন্য ফরহাদ তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা জমি না কিনে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন। পুলিশের ধারণা, এই টাকা আত্মসাতের জেরেই ফরহাদকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, "এটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ঘটনার পরপরই ফরহাদের স্ত্রী লাবণী আক্তারকে আটক করা হয়েছে। তবে তার শাশুড়ি শহিদা বেগম ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।"