রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে রিফাত খান (২১) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা সাগর খানও সামান্য আহত হয়েছেন। পাওনা টাকা আনতে গিয়ে বাবার সামনেই রিফাতকে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। সোমবার (তারিখটি যেহেতু প্রশ্নে উল্লেখ নেই, তাই এটি বাদ দেওয়া হলো) বেলা পৌনে দুইটার দিকে পুরোনো পল্লবী থানার সামনে সি ব্লকের ৯ নম্বর সড়কে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে রিফাতকে উদ্ধার করে ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল পৌনে চারটার দিকে রিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রিফাতের বাবা সাগর খান গণমাধ্যমকে জানান, রিফাত সম্প্রতি গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে বেকার ছিলেন এবং আগামী মাস থেকে নতুন কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। দুপুরে তিনি শেওড়াপাড়া এলাকায় পাওনা টাকা আনতে বাসা থেকে বের হন। পুরোনো পল্লবী থানার সামনে পাঁচ–সাতজন যুবক রিফাতের পথ রোধ করে তাকে মারধর শুরু করে। এই সময় রিফাত তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান।
সাগর খান বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুই মোটরসাইকেলে করে আরও চারজন যুবক সেখানে আসে। দুর্বৃত্তরা তখন জানায়, রিফাতের সঙ্গে তাদের 'হিসাব' আছে। এরপরেই তারা রিফাতের বুকে সরাসরি ছুরিকাঘাত করে। ছেলেকে বাঁচাতে বাবা সাগর খান বাধা দিতে গেলে তাকেও পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করা হয়, তবে তিনি সামান্য আহত হন। ছেলেকে কেন হত্যা করা হলো, সে বিষয়ে তিনি কোনো কিছু জানেন না বলেও জানান।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, নিহত রিফাতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
নিহত রিফাত শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার উত্তর সালদর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পরিবারের সঙ্গে মিরপুর ১২ নম্বরের ডি ব্লকের ২৫ নম্বর সড়কের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় গভীর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক কী কারণে রিফাতকে হত্যা করা হলো, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।