ঢাকার যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাবা মো. তুহিন হোসাইন (৩৮) মারা যাওয়ার পর আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে না ফেরার দেশে চলে গেল তার ৯ বছর বয়সী ছেলে তানভীর।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, সোমবার সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু তানভীরের মৃত্যু হয়। তার শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে গত বুধবার দুপুরে মারা যান বাবা তুহিন হোসাইন, তার শরীরের ৪৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এই ঘটনায় একই পরিবারের দুজনের মৃত্যু হলো।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় তুহিনের স্ত্রী ইবা আক্তার (৩০) এবং ছোট ছেলে তাওহীদ (৭) বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের শরীরের যথাক্রমে ১৫ ও ৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। চিকিৎসকরা তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ধলপুর বউবাজার এলাকার একটি সাততলা ভবনের ভাড়া বাসায় এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এসি বিস্ফোরণের পর আগুন দ্রুত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে, এতে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হন। এরপরই তাদের দ্রুত বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা তুহিন হোসাইন পেশায় একজন মুঠোফোন সার্ভিসিং কর্মী ছিলেন। তিনি রাজধানীর মোতালেব প্লাজায় কাজ করতেন এবং পরিবার নিয়ে ধলপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।