× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল খাগড়াছড়ি: বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত অন্তত ৩, আহত বহু

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:২৫ পিএম । আপডেটঃ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫২ এএম

গুইমারায় সড়কে আগুন জ্বলছে। ছবি: সংগৃহীত

স্কুলশিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যাপক সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

নিহতদের মরদেহ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ এবং খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন মোহাম্মদ সাবের ৩ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন জানান, 'সদর হাসপাতালে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়।' আহত ৪ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ আজ রোববার তৃতীয় দিনে প্রবেশ করায় খাগড়াছড়িতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, রোববার বিকেলে গুইমারার রামেসু বাজারে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান এবং আশেপাশের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাজারটি চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে অবস্থিত। বাজারের অধিকাংশ দোকান মালিক স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পর গুইমারা উপজেলায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় টহল দিচ্ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, অবরোধের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে একদল মুখোশধারী রামেসু বাজার এবং আশেপাশের বাড়িঘরে লুটপাট ও আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে গুইমারার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। মন্ত্রণালয় জানায়, গুইমারা উপজেলায় 'দুষ্কৃতকারীদের হামলায়' ৩ জন পাহাড়ি নিহত এবং মেজরসহ ১৩ সেনাসদস্য, গুইমারা থানার ওসিসহ ৩ পুলিশ সদস্য এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক অতি শিগগির আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং সবাইকে ধৈর্য ধারণপূর্বক শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, 'অবরোধকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত।'

সংঘর্ষের ঘটনায় আজ সকাল থেকে খাগড়াছড়িতে স্থানীয় ও দূরপাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সদস্য। সব দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। শহরের প্রাণকেন্দ্র শাপলা চত্বরে সকালে যানবাহন বা সাধারণ মানুষের ভিড় দেখা যায়নি।

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে অষ্টম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বলে জানা যায়। পরদিন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শয়ন শীল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আদালত ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.