× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

তথ্য কমিশনের অচলাবস্থা সরকারের ব্যর্থতা: তীব্র ক্ষোভ টিআইবি'র

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪০ এএম । আপডেটঃ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৪০ এএম

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

জনগণের তথ্য জানার অধিকার রক্ষায় সরকারের দীর্ঘদিনের উদাসীনতাকে অন্যতম ব্যর্থতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নতুন করে তথ্য কমিশন গঠন না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি অবিলম্বে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যোগ্য ও স্বার্থের দ্বন্দ্বমুক্ত ব্যক্তিদের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে এই অচলাবস্থা অবসানের দাবি জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষে শনিবার (সময় বা তারিখ উল্লেখ নেই, ধরে নেওয়া হয়েছে "আজ") এক বিবৃতিতে টিআইবি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯-এর প্রয়োজনীয় সংশোধনে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছে।

টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "রাষ্ট্র সংস্কারে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও, তথ্য কমিশন কার্যকর করা ও তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োজনীয় সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। নাগরিক সমাজ সুপারিশ দেওয়া সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।"

তিনি আরও বলেন, "জনগণের তথ্য জানার অধিকার রক্ষার প্রতি সরকারের এই দৃশ্যমান উদাসীনতা দুর্ভাগ্যজনক, যা সরকারের অন্যতম একটি ব্যর্থতা। সরকারের এ ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে কমিশন গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।"

ড. জামান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কমিশন না থাকায় তথ্য চেয়ে জনগণের করা আবেদন সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর শুনানি হচ্ছে না বা সমাধানও মিলছে না। ফলে তথ্যে অবাধ অভিগম্যতায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত না হওয়ায় সরকারি দপ্তরগুলোতে তথ্য গোপনের প্রবণতা ও স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ না করার সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে।

টিআইবি'র নির্বাহী পরিচালক মনে করেন, তথ্য অধিকার আইন পাস ও সংবিধিবদ্ধ স্বাধীন সংস্থা হিসেবে তথ্য কমিশনের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও কর্তৃত্ববাদী সরকারের সদিচ্ছার অভাব ও দৃশ্যমান অনীহার ফলে আইনটির কার্যকর বাস্তবায়ন ঘটেনি। তিনি ব্যর্থতার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বিত উদ্যোগের অভাব এবং কিছু তথ্য কমিশনারের দলীয় আদর্শের ধ্বজাবাহক হওয়ার বিষয়টিকেও দায়ী করেন।

ড. জামান যোগ করেন, "ফলস্বরূপ, আইনটির মাধ্যমে সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়নি।"

টিআইবি'র ১৫ দফা সুপারিশ

সার্বজনীন তথ্য অধিকার, প্রবেশগম্যতা ও জন-অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৫ দফা সুপারিশমালা প্রস্তাব করেছে টিআইবি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সুপারিশ হলো:


  • অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে তথ্য অধিকার আইনটিকে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধারার পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে যুগোপযোগী করা।


  • রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে তথ্য অধিকার আইনের আওতাভুক্ত করা।


  • স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের আয়-ব্যয়ের বিভিন্ন খাতওয়ারি খরচ জনগণের জন্য উন্মুক্ত করবে এবং নির্বাচন কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে সেসব তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।


  • বাকস্বাধীনতা ও ভিন্নমতের অধিকার নিশ্চিতের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন এবং এ ক্ষেত্রে সব আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।


  • একাধিক নিবর্তনমূলক আইনের অপব্যবহার করে জনগণের ওপর যেসব নজরদারি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, তা বিলুপ্ত করা।


  • তথ্যপ্রকাশ ও তথ্যে অভিগম্যতার সুবিধার্থে ডিজিটাল টুলসের ব্যবহার সহজলভ্য ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা।

বিষয় : টিআইবি

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.