× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

রাজবাড়ীতে কবরে আগুন, নিহত ১: জনতা ও পুলিশের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র গোয়ালন্দ

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩:৫২ পিএম । আপডেটঃ ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৮ এএম

নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় এক পীর-খ্যাত ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তুলে মহাসড়কে পুড়িয়ে দিয়েছে উত্তেজিত জনতা। শুক্রবার জুমার নামাজের পর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক সাংবাদিকসহ আরও ২২ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পীর হিসেবে পরিচিত নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার কর্মকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষ ছিল। শুক্রবার জুমার নামাজের পর 'ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি'র ব্যানারে শত শত মানুষ গোয়ালন্দ আনসার ক্লাব মাঠে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। মিছিল শেষে তারা নুরুল হকের বাড়ি ও মাজারে হামলা চালায়।

বিক্ষুব্ধ জনতা নুরুল হকের বাড়ির গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা তাঁর কবর থেকে মরদেহ তুলে আনে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপর মরদেহ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় এলাকায় নিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, এ সময় হামলাকারীরা বাড়িটিতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

সংঘর্ষে হতাহত

গোয়ালন্দের ইউএনও মো. নাহিদুর রহমান বলেন, "বিক্ষুব্ধ জনতা মাজারে হামলা করে এবং পরে মরদেহ তুলে নিয়ে মহাসড়কে পুড়িয়ে দেয়।" সংঘর্ষে গুরুতর আহত রাসেল মোল্লা (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার দেবগ্রামের বাসিন্দা। গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন, যাদের মধ্যে এক সাংবাদিকও রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

এই ঘটনাকে 'অমানবিক ও ঘৃণ্য' উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, "এই জঘন্য অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনা হবে।"

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব আরও জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‍্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.