রাজধানীর শাহবাগে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত 'ঢাকা চলো' কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এতে শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়, যার ফলে পথচারীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেন। মিছিলটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পথ আটকে দেয়। শিক্ষার্থীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
পুলিশের বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা হোটেলের সামনের সড়কেই বসে পড়েন। এরপর পুলিশ তাদের সরাতে জলকামান ব্যবহার করে। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর জানান, শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের কারণে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে জনভোগান্তি চরমে পৌঁছায়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মূল তিনটি দাবি হলো:
১. সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ: সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিএসসি ডিগ্রিধারীদের সুযোগ দিতে হবে এবং এক্ষেত্রে কোনো কোটা রাখা যাবে না।
২. উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ: উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে ডিপ্লোমাধারীদের জন্য বরাদ্দ ১০০ শতাংশ কোটা বাতিল করতে হবে। এই পদে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্নকারীদের পাশাপাশি বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রিধারীদেরও আবেদনের সুযোগ দিতে হবে।
৩. পদবি ব্যবহার: বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের পাশে 'ইঞ্জিনিয়ার' পদবি ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা এর আগেও ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন।