হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জালাল আহমদ জালালকে রুমমেটকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে।
হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে জালালকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন এবং জানান যে তার ছাত্রত্ব বাতিলেরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত রবিউল হক ২০১৮-১৯ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও হল প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে চলা বাগ্বিতণ্ডার জেরে জালাল আহমেদ তার রুমমেট রবিউল হককে ছুরিকাঘাত করেন। ঘটনার পর আহত রবিউলকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিউল হক বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে জালাল কক্ষে এসে লাইট জ্বালায় এবং শব্দ করতে থাকে। এতে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমি তাকে বলি, সকালে আমাকে লাইব্রেরিতে যেতে হবে, অযথা শব্দ করলে ঘুমে সমস্যা হচ্ছে। এ কথা শুনে সে রেগে গিয়ে আমাকে অবৈধ, বহিরাগত বলে। আমি প্রতিবাদ করলে সে আমাকে আঘাত করে। পরে কোনোক্রমে আমি আত্মরক্ষা করি।’
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জালাল আহমদকে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ জানান, জালাল আহমদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে এই ঘটনার কোনো প্রভাব পড়বে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে আজকের ঘটনার পর সব বিষয় নতুন করে পর্যালোচনা করা হবে।
এদিকে, এই ঘটনার পর হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের অনেক শিক্ষার্থী প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রক্টর বলেন, ‘আমি নিজেও শিক্ষার্থীদের দেখেছি, তারা হল প্রশাসন, বিশেষ করে প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছে। তবে তারা যদি উপাচার্যের সঙ্গে বসে তাদের দাবি-দাওয়া পদ্ধতিগতভাবে জানায়, সে ক্ষেত্রে তাদের দাবির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’