বায়ুদূষণের মাত্রা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় সেপ্টেম্বর মাস থেকে ঢাকার সাভার উপজেলায় 'টানেল’ ও ‘হাইব্রিড হফম্যান কিল্ন' পদ্ধতিতে পরিচালিত ইটভাটা বাদে সব ধরনের ভাটায় ইট পোড়ানো ও ইট প্রস্তুতের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
ঢাকার সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করায় এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি ৫ অনুযায়ী সরকার সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করেছে। রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান এনডিসি স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রের মাধ্যমে এ ঘোষণা জারি করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ঘোষণার মাধ্যমে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সাভার উপজেলায় টানেল ও হাইব্রিড হফম্যান কিল্ন পদ্ধতিতে পরিচালিত ইটভাটা ছাড়া সব ধরনের ভাটায় ইট পোড়ানোসহ ইট প্রস্তুতের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
পাশাপাশি উন্মুক্ত অবস্থায় কঠিন বর্জ্য পোড়ানো, বায়ুদূষণ করতে পারে–এমন শিল্প কারখানার অনুকূলে অবস্থানগত ও পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাভারের বায়ুর বার্ষিক মানমাত্রা জাতীয় নির্ধারিত মানমাত্রার প্রায় তিন গুণ বেশি।
“এর ফলে জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় পাঁচ মাস ধরে উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত বায়ু সাভারের দূষণকে ঢাকায় নিয়ে আসে, যা রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর ওপর ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।”
এ ঘোষণার মাধ্যমে সাভার ও ঢাকা উভয় অঞ্চলের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিবর্তন আসবে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।