× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পাতাল মেট্রো স্টেশনের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জমি মালিকদের

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭:১২ পিএম । আপডেটঃ ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১৭:৩১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে পাতাল মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ‘রামপুরা স্টেশন’ বাতিলের দাবি। সেটি করা না গেলে ভূমি অধিগ্রহণের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি অধিগ্রহণের শিকার রামপুরার জমি মালিকরা।

শনিবার (৯ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

এসময় রামপুরাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন স্থায়ী বাসিন্দা মো. মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একের পর এক জমির অধিগ্রহণের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছি। বিটিবির জন্য একবার, ডিআইটি রোডের জন্য একবার, এখন আবার মেট্রোরেলের জন্য আমাদের জমি নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আমাদের আর কোনো জমি থাকবে না।’

বর্তমান বাজার দরে রামপুরার জমির মূল্য প্রতি শতাংশ ১২ কোটি টাকা হলেও সরকার তাদের মাত্র ৩৬ লাখ টাকা শতাংশ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মনোয়ার হোসেন জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের কোনো সমাধান না দিয়ে বারবার শুধু ‘কিছু করার নেই’ বলছেন।

তিনি বলেন, এমআরটি লাইন-১ এর বিমানবন্দর লাইনের পাতাল অংশে আফতাবনগর, রামপুরা ও মালিবাগ– এই তিনটি স্টেশন মাত্র দেড় কিলোমিটার পরিসরে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। রামপুরা স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে পৌঁছানো ৫-৭ মিনিটের হাঁটা পথে সম্ভব। ফলে এ স্টেশন নির্মাণ করা অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসিতা মাত্র।

এই বাসিন্দা বলেন, প্রতি কিলোমিটারে পাতাল রেল নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত একটি স্টেশন বাদ দিলে ব্যয় অনেক কমে যাবে।

নিজেদের জমি রক্ষার আকুতি জানিয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, রামপুরা স্টেশন নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত জমিগুলো মূলত বাণিজ্যিক এলাকায়, যেখানে জমির বাজারমূল্য প্রতি শতাংশ প্রায় ১২ কোটি টাকা। অধিগ্রহণ হলে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে, প্রায় ৫০০ কর্মচারী চাকরি হারাবেন এবং অনেক মালিক ভূমিহীন হয়ে পড়বেন। তাই রামপুরা স্টেশন বাদ দিলে শুধু ব্যয়ই কমবে না, বরং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জীবিকা ও ব্যবসাও রক্ষা পাবে।

তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, হয় পাতাল মেট্রোরেল থেকে রামপুরা স্টেশন বাতিল করা হোক। না হলে আমাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। একইসঙ্গে ১০০ ফিট বা ২০০ ফিট রাস্তায় আমাদের পুনর্বাসনের জন্য সমপরিমাণ জমি দেওয়া হোক।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন– এমআরটি লাইন-১-এর অধিগ্রহণের শিকার জমির মালিক আনোয়ার হোসেন, তাইজুল ইসলাম, শেখ জিয়াউদ্দিন আহমেদ, স্বপন আহমেদসহ ১৩ জন।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.