নাটোরের বড়াইগ্রামে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২ জন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু মাইক্রোবাসের চালকের নাম জানা গেছে। তার নাম রুবেল হোসেন (৩২)। বাড়ি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায়। হতাহত ব্যক্তিরা দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসের আরোহী। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তরমুজ পাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইড়মারী এলাকায় মেহেরপুর থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই চালক রুবেল হোসেনসহ পাঁচজন নিহত হন। গুরুতর আহত দুজনকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে আরও একজনের মৃত্যু হয়। অন্য আহত ব্যক্তিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান নামের একজন বলেন, মাইক্রোবাসটি অন্য একটি গাড়িকে অতিক্রম করছিল। তখন বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজন নারী ও দুজন পুরুষ।
নাটোর বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি ইসমাঈল হোসেন জানান, রাজশাহী থেকে একটি মাইক্রোবাস যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল। একই সময় ঢাকাগামী একটি ট্রাক বনপাড়ার দিকে আসছিল। তরমুজ পাম্প এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের তীব্রতায় মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই পাঁচজন যাত্রী নিহত হন। হতাহত ব্যক্তিরা মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। তাদের সবার পরিচয় জানা যায়নি। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি আটক করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছেন।
দুর্ঘটনার পর নাটোর ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।