গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে শহরের পৌর পার্কে স্থানীয় ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এই হামলা চালান। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এ সময় একদল লোক এসে মঞ্চ ভেঙে ফেলে এবং মঞ্চের সামনে থাকা চেয়ার ছুড়ে ফেলতে দেখা যায়। একই সঙ্গে সেখানে থাকা সাউন্ড বক্স ও মাইক ভাঙচুর করে। সেখানে ককটেলও বিস্ফোরণ হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হঠাৎ করেই মিছিল নিয়ে এসে সমাবেশস্থলে হামলা করে। কিছুক্ষণ পরেই স্থান ত্যাগ করে তারা।
পরে ২টার দিকে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলাম, ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উঠে ‘আবু সাঈদ, মুগ্ধ; শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন ।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ‘এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশস্থলে আসার কিছুক্ষণ আগে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সমাবেশস্থলের চেয়ার ভাঙচুর করে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বর্তমানে এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ করছেন।’
এর আগে এনসিপি’র ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুর এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।