প্রতারক হামিদুর রহমান পিন্টু
ঢাকার নবাবগঞ্জে প্রতারক হামিদুর রহমান পিন্টুর কবলে পড়ে নিঃস্ব হয়েছে অসংখ্য ব্যবসায়ী পরিবার। যৌথভাবে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কথা বলে অন্তত পাঁচজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গাঢাকা দিয়েছিলেন ওই প্রতারক। তবে গত শনিবার গভীর রাতে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১০ ওই প্রতারককে রাজধানীর ওয়ারী থেকে গ্ৰেফতার করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন প্রতারিত ব্যাবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক ব্যাবসায়ী জানান, কেরানীগঞ্জ ও নবাবগঞ্জে ব্যবসায়িক মহলে এক আতঙ্কের নাম হামিদুর রহমান পিন্টু। নিজেকে বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠান চালুর নামে মোটা অংকের লাভ দেখিয়ে মূলধন সংগ্রহ করেন স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে। পরে কোটি কোটি টাকার মালামাল নিয়ে উধাও হয়ে যান এই প্রতারক। তার প্রতারণায় নিঃস্ব হয়ে একাধিক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আদালতে মামলা করলে আদালত তাকে ১ বছরের সাজা দেয় ও মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করে।
গত শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর ওয়ারী থেকে সেই সাজাপ্রাপ্ত প্রতারক হামিদুর রহমান পিন্টুকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১০।
র্যাব জানায়, গত শনিবার (০৫ জুলাই) গভীর রাতে রাজধানীর ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্টীট বাজার এলাকা থেকে র্যাব-১০ এর অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রতারক হামিদুর রহমান পিন্টুকে
গ্রেফতার করে ঢাকার নবাবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। পরে থানা পুলিশ ওই প্রতারককে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। গ্রেফতারের বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হামিদুর রহমান পিন্টু নবাবগঞ্জ থানার কালুয়াহাটি উত্তর গ্রামের মো. শফিউদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এনআই অ্যাক্টে (চেক ডিজঅনার) মামলা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. নূর আলম। দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে ঢাকার যুগ্ম দায়রা জজ ৪র্থ আদালতে প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৯১ লাখ ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। পলাতক থাকায় আসামি হামিদুর রহমান পিন্টুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। র্যাব-১০ অভিযান চালিয়ে গত শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করেছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম ন্যাশনাল ট্রিবিউনকে জানান, কয়েকজন ভুক্তভোগী ব্যাবসায়ী প্রতারক হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। তিনটি মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরে র্যাবের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. আলী হোসেন জানান, জমি বিক্রি করে ব্রিকফিল্ড ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করেছি। আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে হামিদুর রহমান পিন্টু প্রতারণা করেছে। এলাকায় তার এরকম প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অনেক মানুষ সর্বশান্ত হয়েছে। তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে যেন কারো সঙ্গে এমন অপকর্ম করার দুঃসাহস না পান। স্থানীয়রা জানান, পিন্টুর কাছে এলাকার অনেকে প্রতারণার শিকার হয়েছে এবং সেই সাথে নির্যাতনের শিকারও হয়েছে।
বিষয় : ঢাকা নবাবগঞ্জ প্রতারক হামিদুর রহমান পিন্টু
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006 ,01922575574
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh
