সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে ঝড় ও বজ্রপাতে ছয় জেলায় ১৩ জন মারা গেছেন। রোববার (১১ মে) দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ঘটনা ঘটে।
টানা কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরমের পর রোববার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি হানা দেয়। এতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও এক নারী আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন—শামছুল হক (৬৫), আব্দুর রাজ্জাক (৪০), জাকিয়া বেগম (৮), মো. সেলিম মিয়া (৬৪) ও মো. জমির খান (২২)।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা নাছরিন জানান, বিকেলে বজ্রপাতে উপজেলায় তিনজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে গরু আনতে গিয়ে উপজেলার গোকর্ণ ভাঙা ব্রিজ এলাকার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে শামছুল হক, টেকানগর এলাকায় ধান কাটতে গিয়ে আব্দুর রাজ্জাক এবং উঠানে খেলা করার সময় ভোলাকুটের দুর্গাপুর গ্রামে জাকিয়া বেগম (৮) নামের এক শিশু নিহত হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতের সময় প্রাণ গেছে এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজনের। ভৈরবে খলা থেকে রোদে শুকানোর জন্য রাখা ধান ঘরে তোলার সময় বজ্রাঘাতে ফয়সাল ও ফারুক মিয়া মারা যান। এছাড়া হোসেনপুরে বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন কুড়িঘাট গ্রামের আবু বকর।
অন্যদিকে, হবিগঞ্জ, শেরপুর ও নওগাঁয় একজন করে নিহত হয়েছেন। এছাড়া কালবৈশাখী ঝড়ের সময় গাছ চাপা পড়ে ময়মনসিংহ সদরের মড়াকুড়ি গ্রামে দুই পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।