দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে আলু ও কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্য দুটির দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ১০ জানুয়ারি প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে। আর বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে ৮০ টাকা কেজির কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। 

হিলি বাজারে আলু কিনতে আসা ক্রেতা মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘তরকারি তৈরিতে আলু একটি অতিপ্রয়োজনীয় পণ্য। যেকোনো তরকারিতেই আলুর দরকার হয়। তবে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি আলু ৫০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। আর আজ  সকালে  প্রতিকেজি আলু কিনলাম ৪০ টাকা কেজি দরে।’ 

কথা হয় কাঁচামরিচ কিনতে আসা মো. ফজিবর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হিলিতে কাঁচামরিচের দাম  কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। গেলো বুধবার প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম  ছিল ৮০ টাকা কেজি। আর আজ বুধবার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। তাই ৩০ টাকা দিয়ে ৫০০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনলাম।’ 

আলু বিক্রেতা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মোকামে আলুর সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে আলুর দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। আমরা মোকাম থেকে পাইকারি ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনে এনে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এরমধ্যে আছে পরিবহন খরচ, লেবার খরচসহ অন্যান্য খরচ।’ 

কাঁচামরিচ বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমরা কাঁচামরিচ পার্শ্ববর্তী বিরামপুর বা পাঁচবিবি থেকে এনে বিক্রি করি। আগে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৭০ টাকা কেজি কিনে এনে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতাম। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ৫০ টাকা কেজি দরে কিনে আজ বুধবার ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’

সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, ‘পরিবহন খরচ, লেবার খরচ নিজের খরচ দিয়ে প্রতিকেজি কাঁচামরিচের দাম ৫৫ টাকা পড়েই যায়। তাই ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’