× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

৭ দফা দাবিতে গণ–অভ্যুত্থানে আহতদের মিরপুর সড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৮ এএম । আপডেটঃ ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১৮ এএম

সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন থেকে শুরু করে টিবি হাসপাতালের রাস্তা বন্ধ করে দেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত বেশ কয়েকজন। এখানে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁরা অবস্থান নিয়েছিলেন বলে জানান।

মিরপুর সড়ক অবরোধ করেছেন গণ-অভ্যুত্থানে আহতেরা। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আজ রোববার দুপুরেছবি: আশরাফুল আলম

সকালে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন, ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতাল ও জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান নেন আহতেরা। এসব এলাকা দিয়ে যানবাহন যেতে দেওয়া হয়নি। রোগী বা অ্যাম্বুলেন্স দেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশে দেখা দেয় যানজট।

এদিকে দুপুরে মিরপুর সড়কও অবরোধ করেন আহতেরা। আহতদের একজন সাব্বির বলেন, আজকে পর্যন্ত তাঁরা পরিস্থিতি দেখবেন। যদি কেউ না আসে, দাবি না মানে তাহলে আগামীকাল তাঁরা সচিবালয়ের দিকে যাবেন।

বেলা একটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুমেলার সামনে মিরপুর সড়কে অবস্থান নিয়েছে আহতেরা। এতে সড়কের সবদিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পথচারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

চিকিৎসাসেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন না—এমন অভিযোগ করে গতকাল রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ভেতরে বিক্ষোভ দেখান জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত এই ব্যক্তিরা। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করেন। রাতেও বিক্ষোভ চলে।

সড়কে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন কবির হোসেন। আন্দোলনের সময় তাঁর চোখে গুলি লেগেছিল। কবিরের বাড়ি মিরপুর–১১–তে। তিনি বলছিলেন, তাঁর চোখে সমস্যা আছে। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতালেই ছিলেন। তবে এখান থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাসায় গেলেই অসুখ বেড়ে যায়। হাসপাতালে এলে একটা ড্রপ ও ব্যথার ওষুধ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর সুচিকিৎসা দরকার।

বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা বলছেন, যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁদের কারও এক চোখে আঘাত, আবার কারও দুই চোখে আঘাত লেগেছে। অনেকের আঘাত গুরুতর। কিন্তু তাঁদের অনেকেই সঠিক চিকিৎসা পাননি।

আজ বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউ রাস্তার মাঝে চাদর বিছিয়ে শুয়ে আছেন। রাস্তার মাঝে বেঞ্চ পেতেও বসে আছেন অনেকে।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে সহায়তা পাওয়ার প্রক্রিয়া ধীরগতির; তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে।

এখন হাসপাতালে যাঁরা আছেন, তাঁদের চিকিৎসা ঠিকমতো করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। তাঁদের দাবি, এ জন্য সুচিকিৎসা দিতে হবে, প্রয়োজনে বিদেশে পাঠাতে হবে।

চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের সামনে রাস্তার মাঝে বেঞ্চ রেখে তাতে বসে আছেন বিক্ষোভকারীদের কেউ কেউছবি: সুহাদা আফরিন

বিক্ষোভকারীদের একজন মো. দুলাল। তিনি হাতে আঘাত পেয়েছিলেন। দুলাল বলেন, তিন মাসে আগে সরকারের পক্ষ থেকে সুচিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। এখন পর্যন্ত কোনো ভালো চিকিৎসা তিনি পাননি।

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকারের কেউ এখন তাঁদের খোঁজখবর আর নেন না। আন্দোলনে তাঁদের অবদান রয়েছে। তাঁদের সুচিকিৎসার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে ।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.