ছবি | সংগৃহীত
গাজীপুরে শ্রীপুরে একটি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে কারখানার সামনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আতঙ্কে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আধাঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
বুধবার সকাল ১০টায় শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার দক্ষিণ পাশে (২ নম্বর সিঅ্যান্ডবি সংলগ্ন) এস কিউ গ্রুপের এস কিউ সেলসিয়াস লিমিটেড (সোয়েটার) কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মণ্ডল।
স্থানীয়রা জানান, এস কিউ গ্রুপের মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) নিয়াজ এলাহী খান মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একটি পক্ষকে ওয়ার্ক অর্ডার (কাজের আদেশ) দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কাজের আবেদন করা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের লোকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে এ বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে।
তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু বণ্টন না করার কারণে ঝুট ব্যবসা নিয়ে এলাকার পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়েছে।
এস কিউ সেলসিয়াস লিমিটেডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জয়নাল আবেদীন বলেন, “এস কিউ গ্রুপের ঝুট ব্যবসার জন্য স্থানীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ক অর্ডারের আবেদন জমা দেন। তাদের মধ্যে থেকে চঞ্চল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী এস এম পলাশকে কার্যাদেশ দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।”
চঞ্চল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী এস এম পলাশ বলেন, “কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাকে ওয়ার্ক অর্ডার (কাজের আদেশ) দেয়। সে অনুযায়ী বুধবার সকালে ঝুট বের করার জন্য আমার দুটি পিকআপ কারখানায় প্রবেশ করে।
“পরে সকাল ১০টার দিকে আবুল কালামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তারা কারখানার সামনে আমার অফিসে হামলা করে ভাঙচুর করে। এসময় ৮-১০টি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করে।”
ওসি জয়নাল অবেদীন মন্ডল বলেন, “শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এস এম পলাশ এবং আবুল কালাম আজাদের লোকজনের মধ্যে কারখানার বাহিরে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। কারখানায় কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং সুষ্ঠুভাবে কারখানায় উৎপাদন কাজ চলমান রয়েছে।”
তবে এস এম আবুল কালাম আজাদ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে হামলার যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার সঠিক নয়। আমি বর্তমানে (এ মুহুর্তে) ব্যাক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি। কে বা কারা হামলা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
“এছাড়া এস কিউ সেলসিয়াস লিমিটেডের ঝুট ব্যবসার জন্য আমি কোনো ওয়ার্ক অর্ডার জমা দেইনি। কারখানা কর্তৃপক্ষ এরকম কোনো কাগজ দেখাতে পারবে না।”
টাকার বিনিময়ে কাজের আদেশ দেওয়ার বিষয়ে নিয়াজ এলাহী খানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh