পাহাড় কেটে বানানো আড়াইশ প্লট বিক্রির অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার নগরীর আকবর শাহ থানায় মামলাটি করেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন।
মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, ১১ নম্বর উত্তর পাহাড়তলি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহরুল আলম জসিম, পাহাড় কেটে তৈরি মিরপুর মালিক কল্যাণ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন।
এই চারজন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে দুই কাউন্সিলর পাহাড় কেটে প্লট বিক্রির ওই সিন্ডিকেটে জড়িত বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এই আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়েছে নগরীর আকবর শাহ এলাকা সংলগ্ন সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল লতিফপুর মৌজায় পাহাড় কেটে।
আসামিদের মধ্যে নেছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু নগর আওয়ামী লীগের নেতা। আরেক কাউন্সিলর জহরুল আলম জসিম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
জসিমের বিরুদ্ধে আগে থেকে পাহাড়া কাটার একাধিক অভিযোগ আছে, এবং তার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর একাধিক মামলাও করেছে।
মামলার বাদী মো. আশরাফ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৪(২), ৬ (খ) এবং ১২ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।
“প্রায় দুই বছর ধরে আনুমারিক ৫ একর পাহাড়ি ওই জমি দখলে নিয়ে এর মধ্যে ২ একর জমিতে থাকা ৮০-১০০ ফুট উচ্চতার পাহাড় কাটা হয়েছে। মিরপুর আবাসিক নাম দিয়ে সেখানে সমতল করা জমিতে প্রায় ২৫০টি প্লট বিক্রি করা হয়েছে।”
গত ৪ সেপ্টেম্বর লতিফপুর মৌজায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে যায় পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল।
সেদিন ওই এলাকায় পাহাড় কাটার সময় সালমা খানম নামের এক নারীকে হাতেনাতে আটক করে অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাহাড় কাটায় নিয়োজিত ১০-১২ জন শ্রমিক আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে সেদিন পালিয়ে যায়।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ ওই নারীকে পাহাড় কাটার দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং মামলা করার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এরপর অধিদপ্তরের দল ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে পাহাড় কেটে প্লট বিক্রির ওই সিন্ডিকেটের সন্ধান পায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, “আসামিদের একটি সিন্ডিকেট পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে পরিবেশ ছাড়পত্র গ্রহণ ছাড়াই মিরপুর মালিক কল্যাণ কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড নামের আবাসন প্রকল্প স্থাপন করে।
“অবৈধভাবে পাহাড় কেটে প্রায় ৫ একর জমির মধ্যে ২৫০টি প্লট বিক্রি করেছে। সেখানে ৮০-১০০ ফুট উচ্চতার পাহাড়ি জমির মধ্যে প্রায় ২ একর জায়গায় পাহাড় কেটে সমতল করে বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে।”
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh