বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমিসহ মাননীয় কমিশনারগণ দেশের পরিবর্তিত বিরাজিত অবস্থায় পদত্যাগ করতে মনস্থির করেছি। আমরা অদ্যই পদত্যাগপত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতির সমীপে উপস্থাপনের নিমিত্তে কমিশনের সচিব মহোদয়ের কাছে দেব।”
দুই নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান ও সাবেক আমলা মো. আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে সিইসির সঙ্গে ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার রাশদা সুলতানা ও আনিছুর রহমান অনুপস্থিত ছিলেন।
২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশের ত্রয়োদশ সিইসি হিসেবে দায়িত্ব পায় সাবেক আমলা হাবিবুল আউয়াল নেতৃতত্বাধীন এই কমিশন। তাদের পরিচালনায় এ বছর ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হয়। এছাড়া এ আড়াই বছরে দেড় সহস্রাধিক বিভিন্ন নির্বাচন করেছে কমিশন।
এর আগে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এলে ৩১ জানুয়ারি বিদায় নিতে হয়েছিল তৎকালীন নির্বাচন কমিশনকে।
ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে ৮ অগাস্ট নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাত্রা শুরু করে। রাষ্ট্রপতি ৬ অগাস্ট সংসদ ভেঙে দিয়েছেন।
সংস্কারের প্রতিশ্রুতির মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন। আন্দোলনকারীদের চাপের মুখে সরে যেতে হয়েছে প্রধান বিচারপতিকে, পদ ছেড়েছেন বিভিন্ন বিশ্বাবিদ্যালয়েল উপাচার্যসহ আরও অনেকে। সবশেষ স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও পদত্যাগ করেন ২ সেপ্টেম্বর।
ইসি গঠনে দীর্ঘদিন কোনো আইন ছিল না। ২০২২ সালে নতুন কমিশন গঠনের আগে আকস্মিকভাবেই আইন প্রণয়ন হয়, আর সেই আইনের অধীনে প্রথম নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব নেন কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ পাঁচজন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সামনে নির্বাচন হবে। কবে এ সরকারের মেয়াদ কত দিনের হবে আর নির্বাচনই বা কবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। আওয়াল কমিশনের পদত্যাগের ফলে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন করতে হবে।