× প্রচ্ছদ জাতীয় রাজনীতি অর্থনীতি সারাদেশ আন্তর্জাতিক খেলা বিনোদন ফিচার প্রবাস সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

কক্সবাজারে পানিতে ডুবে ১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২

ন্যাশনাল ট্রিবিউন প্রতিবেদক

২২ আগস্ট ২০২৪, ১১:৩৭ এএম । আপডেটঃ ২২ আগস্ট ২০২৪, ১২:২৩ পিএম

ছবি | সংগৃহীত

ভারি বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পানিতে ডুবে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও দুজন। এছাড়া বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ তোফায়েল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজারে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রামু উপজেলার ঈদগড়ে পানিতে ডুবে রাখাইন এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এবং গর্জনিয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের স্রোতে দুই যুবক ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান।

নিহত যুবকের বাড়ি উপজেলার ঈদগড়ে বলে তিনি নিশ্চিত করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি।

নিখোঁজরা হলেন-উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্বজুমছড়ি গ্রামের ছৈয়দ হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন (২২) এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের ছালেহ আহমদের ছেলে রবিউল আলম (৩৫)।

গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল জব্বার বলেন, “আমার পাশের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব-জুমছড়ি কবরস্থান সড়ক পার হতে গিয়ে আমজাদ হোসেন পানির স্রোতে ভেসে গেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়ন থেকেও বাঁকখালী নদীর পানির স্রোতে রবিউল আলম নামের একজন ভেসে যাওয়ার খবর পেয়েছি।

“আমার ওয়ার্ডের ২৫০ পরিবার পানিবন্দি। সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। কারো চুলায় আগুন জ্বলছে না। আমি যথাসম্ভব খিচুড়ি রান্না করে জনে জনে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।”

তিনি বলেন, “বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি। উপজেলার গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ারখোপ ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। বাঁকখালী নদীর ভাঙনে এসব এলাকার বাসিন্দারা হুমকির মুখে পড়েছে।”

ওসি আবু তাহের বলেন, “আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তীব্র আকার ধারণ করায় রামুর বিভিন্ন জায়গায় পানি বেড়ে গেছে। সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে দুর্ভোগ নিরসনে কাজ করা হচ্ছে। রামুর অনন্ত ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।”

বৃষ্টিতে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের পানিতে প্লাবিত হয়েছে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে উখিয়া ও টেকনাফের ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা।

এছাড়া পেকুয়া উপজেলার আরও ১০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। যেখানে কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও এ পর্যন্ত প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী ও মাতামুহুরির পানি বিপদ সীমার অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে।

National Tribune

সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন

যোগাযোগ: +880244809006

ই-মেইল: [email protected]

ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 National Tribune All Rights Reserved.