চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত রেললাইন পানিতে ডুবে যাওয়ায় এবং বন্যার পানিতে কুমিল্লায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার পর চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে ঢাকা ও সিলেটের উদ্দেশে তিনটি ট্রেন চট্টগ্রাম ছেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু রেললাইনে পানির কারণে সিলেটগামী ট্রেনটি ফেরত আনা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “ফেনীতে রেললাইন ও রেলসেতুর ওপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফেনী স্টেশনে বন্যার পানি জমে রয়েছে। কুমিল্লা ও সিলেটে কয়েকটি স্থানে রেললাইনে পানি আছে।
“এই অবস্থায় ট্রেন চালানো সম্ভব নয়। তাই আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রেল কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, “সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও চট্টলা এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। ট্রেন দুটি চলে গেছে। কিন্তু সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেরত আনতে বাধ্য হয়েছি।”
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অধীনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, সিলেট, জামালপুর ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন গন্তব্যে দৈনিক ১১টি আন্তঃনগর ট্রেন চলে।
এছাড়া কক্সবাজার, নাজিরহাট, চাঁদপুর, ঢাকা ও ময়মনসিংহ গন্তব্যে কয়েকটি লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে। বন্যার কারণে এসব ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে কুমিল্লা, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও মৌলভীবাজারের ৪৩টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। বানের পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে ফেনীর ফুলগাজীতে।
ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি ঘটেছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বিভিন্ন আবহাওয়া সংস্থার বরাতে সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃহস্পতিবার সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাত কমে আসতে পারে। এসময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি প্রাথমিকভাবে স্থিতিশীল থেকে পরে উন্নতি হতে পারে।