সরকার পতনের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগের মধ্যে রংপুর নগরীতে তিনজনের নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
তারা হলেন- রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা, যুবলীগকর্মী মাসুম মিয়া (৩১) এবং নগরীর গোড়াপীপাড়ার বাসিন্দা খাইরুল (৩০)।
রোববার দুপুর থেকেই মহানগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়, সিটি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীরা জড়ো হন। তাদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ তাদের অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরাও মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন।
একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে তা আশপাশের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় যুবলীগকর্মীসহ দুজন নিহতহ হন।
পরে তাদের মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসা হয়।
মর্গের সরদার মিজানুর রহমান মিজান বলেন, “দুপুরে দুটি লাশ নিয়ে আসা হয়েছে।”
হাসপাতালে মর্গে গিয়ে যে দুটি লাশ দেখা গেছে তাদের গায়ে কোনো গুলির চিহ্ন দেখা যায়নি।
রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুর রহমান বলেন, “৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধনের পরিবার আমাকে তার মৃত্যুর সংবাদ জানিয়েছে। তবে তার মরদেহ কোথায় আছে জানি না।”
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।