বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর উত্তরায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বেলা ১১ টার দিকে উত্তরা সাত নম্বর সেক্টরের উত্তরা হাই স্কুলের সামনে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও মিছিল নিয়ে এসে সমবেত হন।
পরে তারা একসঙ্গে বিএনএস সেন্টারের সামনের সড়কে এসে অবস্থান নিলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকেও মিছিলের সঙ্গে যোগ দিতে দেখা যায়।
‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় প্রায় সবার হাতেই লাঠি, স্টিলের পাইপ, স্টাম্প দেখা যায়। সড়কে টায়ার ও কাঠ জ্বালানো হলে সেই ধোঁয়া দেখা যায় বহু দূর থেকে।
শিক্ষার্থীদের জমায়েত ঘিরে আশপাশে পুলিশের কোনো উপস্থিতি দেখা যায়নি। একরকম বিনা বাধায় আন্দোলনকারীরা উত্তরায় তাদের কর্মসূচি শুরু করেন।
সরকারি চাকরির কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার আহ্বান উপেক্ষা করে এক দফা দাবিতে এই সর্বাত্মক অসহযোগের ডাক দিয়েছে।
শনিবার ঢাকায় বিশাল সমাবেশ করে নাগরিক ছাত্রসংগঠন এবং পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে মিলে ‘সম্মিলিত মোর্চা’ গঠনের ঘোষণা দিয়ে তারা বলেছে, শিগগিরই তারা ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা’ সবার সামনে আনবে।
অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি রোববার রাজধানীসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।