ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুর ও নবীন শিক্ষার্থীকে র্যাগিং এর ঘটনায়, এক শিক্ষার্থীকে স্থায়ী ও পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মেডিকেলে ভাংচুরের অভিযোগে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে স্থায়ী এবং নবীন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শাহরিয়ায় হাসান, হিশাম নাজির শুভ,মিজানুর রহমান ইমন, সাদমান সাকিব আকিব ও শেখ সালা উদ্দিন সাকিবকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগে ওই বছরের ১৫ জুলাই কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। এসময় কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.সেলিনা নাসরিনকে।
এছাড়া গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিন ওসমানকে র্যাগিং ও মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে।এ বিষয়ে একই বিভাগের ২০২১ -২০২২ পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।এ বিষয়ে সতত্যার প্রমান পায় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই পাঁচজনকে প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশক্রমে সমস্ত তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।'