ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের এবং জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার উভয়েই সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশনের ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণে এই অনিয়মগুলো ঘটছে।
ভিপি প্রার্থী আবদুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, "ভোটকেন্দ্রের ১০০ গজের মধ্যে কোনো ধরনের স্লিপ বা টোকেন বিতরণ করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু আমরা দেখছি, প্রার্থীরা লাইনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ভোটারদের হাতে টোকেন দিচ্ছেন, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত।" তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি নিয়মগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ না করে, তাহলে নির্বাচনের ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। কমিশনের মাঠপর্যায়ে সদস্যদের অনুপস্থিতি নিয়েও তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। তার ভাষ্য, "আমরা কমিশনকে অনুরোধ করব, বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ভোটার স্লিপ বিতরণের মাধ্যমে আচরণবিধি ভঙ্গ করছে।
অন্যদিকে, জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারও একই ধরনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, "আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম ইতিমধ্যেই এই নিয়ম ভেঙেছেন। তিনি সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন, যা শিক্ষার্থী ও নেটিজেনরা ভালোভাবে দেখছেন না।" তিনি কেন্দ্রের ভেতরে লিফলেট বিতরণের বিষয়টি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে একই সাথে তিনি এর জন্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেন। বাকের মজুমদার বলেন, "আমার মনে হয়, এটি নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা। তারা স্পষ্টভাবে কোনো সঠিক নির্দেশনা দেয়নি যে কী করা যাবে আর কী যাবে না।"
লিখিত অভিযোগ জানানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমরা মৌখিকভাবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার সুযোগ আজ নেই।" তিনি আরও জানান, টিএসসিতে কিছু বহিরাগতকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে, যা তিনি উপস্থিত প্রশাসনকে জানিয়েছেন। প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এ ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি জানা যায়নি।