নওগাঁয় সরকার নির্ধারিত মূল্যে অপারগতা প্রকাশ করে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দু'একজন বিক্রেতাকে ফ্রিজে রাখা মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার নির্ধারিত মূল্য ৬৬৫ টাকা কেজি দরে লোকসান দিয়ে মাংস বিক্রি করা তাদের পক্ষে সম্ভব না।
মাংস ব্যবসায়ীরা সোমবার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে কিছুটা বেশি মূল্যে বিক্রি করার অনুমতি প্রার্থনা করেন। জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা তাদের বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ মানুষদের ক্রয় ক্ষমতা সহজ করতে সরকার এই মুল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার বা করার নেই।’
ব্যবসায়ীরা সেখন থেকে ফিরে এসে মঙ্গলবার সকাল থেকে গরু জবাই এবং মাংস বিক্রি সম্পূর্নভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে অবস্থানরত মাংস বিক্রেতা রাব্বী বলেন, বেশি মূল্যে গরু কেনা, কর্মচারী খরচসহ ইত্যাদি কারণে সাড়ে ৭০০ টাকা কেজি'র নিচে মাংস বিক্রি করা কোনোক্রমেই সম্ভব না। তাই বাধ্য হয়ে গরু জবাই এবং বিক্রি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
শহরের চকবাড়ি এলাকার ফারুক হোসেন বলেন, বাসায় শ্বশুরবাড়ি থেকে লোকজন এসেছেন। স্ত্রীর বায়না গরুর মাংস আনতে হবে। এদিকে দাম আকাশচুম্বী, প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা। তারপরেও বাজারে এসে দেখি গরুর মাংসের দোকান বন্ধ। এখন বাসায় ফিরে গিয়ে বউকে কি বলব, শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই বা কি মনে করবে।’
এদিকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দু'একজন ব্যবসায়ীকে ফ্রিজে রাখা মাংস প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ২০০ গ্রাম চর্বি, নির্দিষ্ট পরিমাণ হাড় দেওয়ার শর্তে ৬৬৫ টাকা দরে মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে।