নিত্যপণ্যের দাম ‘যৌক্তিক পর্যায়ে’ রাখতে সাড়ে পাঁচ বছর আগে যে কৃষি বিপণন আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, সেটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার টিসিবি ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন টিটু।
তিনি বলেছেন, একটা জিনিস আপনি যখন যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করবেন, সঙ্গে সঙ্গে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। আগে এটা (যৌক্তিক মূল্য) নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। অনেকদিন ধরে আইনটা ছিল কিন্তু করা হয়নি। আমরা এখন সমন্বিতভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, ইউএনও, ডিসি সবাই মিলে সমন্বয় করব। আশা করি, এটা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে।
কৃষক, উৎপাদক, কৃষি ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সহায়ক হিসেবে এবং কৃষি বিপণন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদে কৃষি বিপণন বিল পাস করা হয়। পরে ১ অক্টোবর গেজেট হলে তা আইনে রূপ পায়।
তবে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় আইনটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছিল না। সাড়ে তিন বছরের মাথায় ২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ‘কৃষি বিপণন বিধিমালা’ প্রণয়ন করে কৃষি মন্ত্রণালয়।
অবশ্য তার আগের বছর থেকে কৃষিপণ্যের ‘যৌক্তিক মূল্য’ প্রকাশ করে আসছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই তালিকায় পাইকারি দরের তথ্য দেওয়া হয় । যদিও বাস্তবে যৌক্তিক মূল্য বাস্তবায়ন করতে পারেনি সরকার।
কৃষি বিপণন বিধিমালা ২০২১ অনুযায়ী- উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পণ্যভেদে মুনাফার সর্বোচ্চ হার বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী সবশেষ ১৫ মার্চ গরুর মাংসসহ ২৯টি পণ্যের যৌক্তিক দাম প্রকাশ করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর; যদিও বাজারে তা মানা হয় না।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পণ্যের একটা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই অধিদপ্তরের নিজস্ব জেলা, উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কমিটি আছে। আমরা যেহেতু বাজার মনিটরিং করি, আমরা সমন্বয় করে মনিটরিং শুরু করব।