বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) পরিচালনা পর্ষদ বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে আদেশ জারি করেছে। আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও জনস্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সুপারিশে বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর বর্তমান পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠনের আদেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ন্যাশনাল ব্যাংকে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্তৃত্ব নিয়ে সিকদার পরিবারের মধ্যেই বিরোধ দেখা দিয়েছে। প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের মেয়ে পারভীন হক সিকদার আছেন একদিকে, অন্যদিকে তাঁর দুই ভাই রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার।
ভার্চুয়াল এজিএমে পাতানো ভোটের মাধ্যমে তাঁকে পর্ষদ থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে– এমন শঙ্কায় পারভীন হক সিকদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ ডিসেম্বর নির্ধারিত বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আদালত। এর আগে একই শঙ্কা জানিয়ে এজিএম বন্ধের উদ্যোগ নিতে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি লিখেছেন তিনি।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের এজিএম আয়োজনের বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে ঘোষণা দিতে হয়। গত ৩০ এপ্রিলের পর্ষদ সভার সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে ২০২২ হিসাব বছরের ওপর প্রথমে এজিএমের তারিখ ঘোষণা করা হয় গত ১৭ আগস্ট।
ন্যাশনাল ব্যাংকের এজিএমের ওপর আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেছেন চেম্বার আদালত। ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন পারভীন হক সিকদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম গতকাল এ আদেশ দেন। আগামী ১৬ জানুয়ারি আপিল বিভাগে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে।
আদালতে যাওয়ার বিষয়ে পারভীন হক সিকদার টেলিফোনে জানিয়েছিলেন, এখানে অনেক অনিয়ম চলছে। এজিএমের তারিখ বা এজেন্ডা নিয়ে পর্ষদ থেকে কিছু অনুমোদন করা হয়নি। কীভাবে এসব হচ্ছে তা স্বাধীন কোনো পক্ষ পর্যবেক্ষণ করছে না।