ছবি: সংগৃহীত
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকমসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছে ইউনূস সেন্টার।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিজ্ঞপ্তিতে ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ড. ইউনূস নিজেই বারবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকসহ তাঁর সৃষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানে তাঁর কোনো শেয়ার বা মালিকানা নেই। তিনি তাঁর সৃষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কখনও কোনো অর্থ বা সম্মানী নেননি। তিনি শুধু গ্রামীণ ব্যাংকে থাকাকালে ব্যাংকের বেতন স্কেল অনুযায়ী অর্থ নিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রামীণ ব্যাংক ব্যতীত ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলো কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর ২৮ ধারা অনুসারে গঠিত, যাতে কোনো ধরনের মালিকানা থাকে না। ড. ইউনূস, কোনো বোর্ড সদস্য কিংবা গ্রামীণ ব্যাংক এগুলোর মালিক নন। স্পন্সর সদস্যদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ কোম্পানিগুলো গঠন করা হয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক এই ‘নট ফর প্রফিট’ বা অলাভজনক কোম্পানিগুলোর কোনোটিরই মালিক নয়।
শনিবার সংবাদ সম্মেলেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ বলেছেন, পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান পদ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইউনূস সেন্টার বলেছে, গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইন অনুযায়ী গঠিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যাদের পৃথক আইনগত ও হিসাবগত সত্তা রয়েছে। গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকমের জন্মলগ্ন থেকে তিনি প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যান পদে নিয়োজিত আছেন। গ্রামীণ ব্যাংক এখন প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যান বা বোর্ড সদস্য মনোনয়ন দিতে পারে না। কোম্পানিগুলোর আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশন অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠানে গ্রামীণ ব্যাংক কোনো পক্ষ নয় এবং এগুলোতে গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো মালিকানাও নেই।
মানি লন্ডারিংয়ের আলামত পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে ইউনূস সেন্টার বলেছে, গ্রামীণ ব্যাংকে বরাবরের মতো দেশের খ্যাতিমান অডিটররা বার্ষিক অডিট করেছেন। তারা কোনো সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে এমন কোনো মন্তব্য করেননি। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক টিম এবং সরকার গঠিত কমিটি ও কমিশন এ ধরনের কোনো অনিয়ম খুঁজে পায়নি। কাজেই মানি লন্ডারিংয়ের মতো অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীনই শুধু নয়, হাস্যকর এবং মানহানিকরও।
ইউনূস সেন্টার বলেছে, টেলিকম ভবনসহ সবকিছু গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা দিয়ে করা হয়েছে বলে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা দিয়ে টেলিকম ভবন বা অন্য কোনো স্থাপনা বা কোনো প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল মজিদ অভিযোগ করেছিলেন, গ্রামীণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৪৪৭ কোটি টাকা নিয়েছেন। ইউনূস সেন্টার তা নাকচ করে দিয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আনোয়ার হোসেন নবীন
যোগাযোগ: +880244809006
ই-মেইল: [email protected]
ঠিকানা: ২২০/১ (৫ম তলা), বেগম রোকেয়া সরণি, তালতলা, আগারগাঁও, পশ্চিম কাফরুল, ঢাকা-১২০৭
© 2025 National Tribune All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh