আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশে চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে কিছুটা উন্নতির সম্ভাবনা দেখছে। সংস্থাটি মনে করছে, আগামীতে মূল্যস্ফীতির হার বর্তমানের তুলনায় কমবে। অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে। তবে নিকট মেয়াদে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুরুদ্ধারে মুদ্রানীতির আরও সংকোচন করতে হবে। আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায় ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদনের পর গত মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ নিয়ে এমন মূল্যায়ন করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার ছাড়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় আইএমএফের পর্ষদ।আইএমএফ মনে করছে, চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ২ শতাংশে নামবে। বর্তমানে যা রয়েছে ৯ শতাংশের ওপরে। সংস্থাটির মতে, মুদ্রানীতির আরও সংকোচনের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমার পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির প্রভাব জোরদার হবে। আইএমএফের পরিচালকরা জানিয়েছেন, স্বল্পমেয়াদি নীতি প্রণয়নের লক্ষ্য হওয়া উচিত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা।
এ জন্য পরিমাপভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে মুদ্রানীতি সংকোচন করতে হবে।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আইএমএফ গত জানুয়ারিতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে। গত ফেব্রুয়ারির শুরুতেই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ছাড় হয়। সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে পুরো ঋণ পাওয়ার কথা রয়েছে। বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)– এ তিনটি ভাগে ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ।
দ্বিতীয় কিস্তিতে ইসিএফ বা ইএফএফের আওতায় ৪৬ কোটি ৮৩ লাখ ডলার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলয় আরএসএফ তহবিল থেকে দিয়েছে ২২ কোটি ১৫ লাখ ডলার।দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ শুক্রবারের মধ্যে আসবে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।তিনি আরও বলেন, তাছাড়া চলতি মাসে রেমিট্যান্সসহ ডলার আসার প্রবাহ ইতিবাচক হওয়ার পাশাপাশি দাতা সংস্থার ঋণ বাড়ছে। একই সঙ্গে আগের তুলনায় ডলার খরচ কিছুটা হলেও কমেছে। তাই আগামীতে রিজার্ভ কমার কারণ নেই।